নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের মধ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবধরনের গণপরিবহন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চালু করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা যায় যে- আমাদের দেশের গণপরিবহনকে আইন মানানো কঠিন চ্যালেঞ্জ। এরমধ্যে দীর্ঘদিন বন্ধের কারণে আয় বঞ্চিত থাকায় পরিবহনের মালিক ও শ্রমিক ভাইয়েরা নিদারুণ আর্থিক সংকটে পতিত। ফলে তাদের কাছে বেঁচে থাকায় এখন মূখ্য বিষয়। এমন পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবহন পরিচালনা করা কতোটুকু সম্ভব সে প্রশ্নও রয়েছে।
অন্যদিকে গণপরিবহন চলতে শুরু করলে সড়কে যারা বৈধ-অবৈধ চাঁদাবাজি করেন তারাও সক্রিয় হয়ে উঠবে। এমতাবস্থায় সরকারের পক্ষে পরিবহনের মালিক, শ্রমিক ও যাত্রী সাধারনের জন্য আরোপিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন পরিচালনা কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। অপরদিকে দেশে গণপরিবহনগুলো প্রতিদিন ইজারাভিত্তিক চালানোর কারণে মালিক সমিতি, বাস শ্রমিক সংগঠনের নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে স্ব-স্ব গণপরিবহনের শ্রমিকের নিয়ন্ত্রণের পরিবহনগুলো পরিচালিত হয়। এতে দেশের যাত্রী সাধারণ শঙ্কিত যে বাসে বাসে বেশি যাত্রী তোলা ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের একটি অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হতে পারে। তাই করোনা সংক্রমণ বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন পরিচালনার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে দিলেই কেবল সড়কে শৃঙ্খলা ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করা সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ছুটিতে দেশের মানুষ এখন এক ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পতিত। এমন অবস্থায় অর্ধেক যাত্রী নিয়েও যাতে গণপরিবহনগুলো বিদ্যমান হারে ভাড়া আদায় করে পরিবহন সেবা চালু করতে পারে সে জন্য তেলের দাম কমানোর জরুরী। এছাড়া বিশ্ববাজারে বহু আগেই তেলের দাম কমেছে।এমন পরিস্থিতিতে তেলের দাম কমিয়ে সাশ্রয়ী ভাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের যাত্রী সাধারণকে যাতায়াতের সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।